প্রার্থীকে চাকরির সাক্ষাৎকারে নানা ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। প্রশ্ন যেমনই হোক, বিব্রত হওয়া চলবে না কিছুতেই। আজ জেনে নেওয়া যাক কোন ১০টি প্রশ্ন প্রায়ই করা হয় চাকরির ভাইভাতে। প্রশ্ন জানা থাকলে আগেই নিজের মতো করে ঠিক করে নিতে পারবেন উত্তরটা।
নিজের ব্যাপারে কিছু বলুন
এটি দিয়েই শুরু হয় অনেক ভাইভা। তাই আগেই নিজের সম্পর্কে বলার মতো তথ্য সাজিয়ে রাখুন। নিজের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলো আবার বলে বসবেন না। শিক্ষাগত যোগ্যতা, শখ, কাজের অভিজ্ঞতা এগুলোই বলবেন।
কেন আপনি এ চাকরি করতে চান?
সাক্ষাতকারে এই প্রশ্নের মাধ্যমে চাকরিদাতা আসলে জানতে চান, আপনি তাদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে কতটুকু ধারণা রাখেন। তাই আগেই ওই প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরন, নীতিমালা এসব জানার চেষ্টা করবেন। নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করবেন যেন ওই পদের জন্য আপনাকেই যোগ্য মনে করা হয়।
আপনাকেই কেন নেবো?
বিব্রতকর এ প্রশ্নের জন্যেও তৈরি থাকুন। সংক্ষিপ্ত কিন্তু স্পষ্ট ভাবে নিজের কোনও একটি বিশেষ গুণের কথা বলতে পারেন এর উত্তরে। এরপর বাদবাকি যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার কথা বলবেন। পরিশ্রম করে আপনি সবসময় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে থাকবেন এমন মন্তব্য করেই উত্তর শেষ করুন।
আপনার বড় শক্তি কী?
এক্ষেত্রে শিক্ষাগত বা অভিজ্ঞতার কথা আবার বলবেন না। বরং অন্যকিছু বলুন। বিশেষ কোনও অর্জন বা প্রশিক্ষণ থাকলে সেটার কথা বলুন। নিজের কাজের কোনও উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন আপনি কখন কোন টিমে কাজ করেছেন এবং সেখানে আপনার অবদান কী ছিল তাও বলুন।
আপনার দুর্বলতা কী?
একেবারেই নেই, এমনটা বলবেন না। সংকোচ ঝেড়ে সত্যিটাই বলুন। কারও হয়তো প্রেজেন্টেশনে দুর্বলতা থাকতে পারে, কেউ বা টাইপিংয়ে ধীরগতির হতে পারেন। তবে সেটা যাই হোক না কেন বলার পর অবশ্যই বলবেন নিজের দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আগের চাকরিটা ছাড়ছেন কেন?
চাকরি ছাড়ার পেছনে যে কারণই থাকুক ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে ভুল করবেন না। এতে করে আপনার ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পাবে। আগের প্রতিষ্ঠানের সরাসরি দুর্নাম না করাই মঙ্গল।
বেতন কত প্রত্যাশা করেন?
এটা একটু অস্বস্তিকর হয়ে যায় প্রার্থীর জন্য। এক্ষেত্রে প্রার্থীর উচিত তার পদ অনুসারে বেতনের সীমারেখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা। যতটা সম্ভব একটি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। সাক্ষাৎকার দিতে যাওয়ার আগের দিন প্রার্থীকে জেনে নিতে হবে ওই পদের জন্য বেতন কত হতে পারে। এতে দুপক্ষই বেতন-ভাতা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারবেন।
কাজের চাপ কিভাবে সামলাবেন?
আপনি কাজের চাপের কারণে আগের চাকরি ছেড়েছেন, এমনটা বলবেন না। ধরে নিন সব কাজেই চাপ থাকবে। চাপটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন, এমনটাই বুঝিয়ে দেবেন চাকরিদাতাকে।
আগের কাজ সম্পর্কে বলুন
এক্ষেত্রে চাকরিদাতা জানতে চান আপনার কাজের কৌশল বা দক্ষতার ব্যাপারে। আগের কোনো একটি কঠিন প্রজেক্টের খুঁটিনাটি মনে রাখুন আগে থেকেই। চটজলদি উত্তর দিতে পারবেন সেক্ষেত্রে।
আপনার লক্ষ্য কী?
কোনও ভাল চাকরির সুযোগ পেলে আপনি কি এই কোম্পানি ছেড়ে দেবেন? মূলত এটাও জানতে চাইতে পারেন অনেকে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারেন, আমি যদি ভালো পারফর্মেন্স দেখাতে পারি, তবে প্রতিষ্ঠানও নিশ্চয়ই আমাকে ছাড়তে চাইবে না। তা ছাড়া একটা কিছু শেখা বা অভিজ্ঞতার জন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। এমনটাও বলতে পারেন। মনে রাখবেন, ‘আমি কখনই আপনাদের ছেড়ে যাবো না’ চাকরিদাতা কিন্তু এমন উত্তরও পছন্দ করবেন না।
إرسال تعليق