১.বেশি রাগি মানুষঃ বেশি রাগি মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে যাবেন না । মনে রাখবেন যে মানুষ হাসতে জানে না, হাসাতে জানে না এবং অল্পতেই রেগে যায় এই ধরনের মানুষেরা রেগে গেলে সবকিছুই করতে পরে । তাই এদের থেকে দূরে থাকাই ভালো । তবে এ ধরনের মানুষ আপনাকে বিপদে সাহায্য করতে পারে আবার এদের জন্যই আপনি একিভাবে বিপদে পরতে পারেন । তাই এদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবেই না ।
এ ধরনের মানুষ বন্ধুত্বের মূল্য দিতে জানে না অর্থাৎ কখনো এদের সাথে আপনার মতের অমিল হলে এরা আপনার যত ভালো বন্ধুত্বই হোক না কেনো আপনার গায়ে হাত তুলতেও দ্ধিধাবোধ করবে না । তাই এদেরকে বন্ধুও বানাবেন না বা এদের সাথে শত্রুতাও করবেন না । সবসময় এদের এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করবেন ।
২.অলস মানুষ / যারা সময়ের মূল্য বোঝে নাঃ প্রথমেই বলে দেই যারা যারা সময়ের মূল্য বোঝে না বা অলস এরা সাধারনত জীবনে কিছুই করতে পারে না । এদের কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে না যখন যেমন তখন তেমন । এর মধ্যে যারা একটু ধনী তারা দেখবেন সারাজীবন বাপের হোটেলেই খেয়ে যাবে । আর যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয় এরা যখন যে কর্ম পায় সেটায় করে, এদের কাছে ভালো খারাপ বা ছোট -বড় এগুলোর কোনো পার্থক্য নেই ।
তাই এ ধরনের মানুষ আপনার বন্ধু হয়ে থাকলে এরা নিজেরাও জিবনে কিছু করবে না আর আপনাকেও কিছু করতে দেবে না । মনে রাখবেন আপনি কি করবেন আপনার ক্যারিয়ার কি হবে এগুলো নিয়ে আপনাকে প্রতিনিয়ত ভাবতে হবেই হবে । তাই যারা এগুলো নিয়ে ভাবে না তাদের সাথে আপনার চলাফেরা থাকলে আপনিও তাদের মতো হয়ে যাবেন ।
৩.যারা প্রচুর মিথ্যা কথা বলেঃ মনে রাখবেন কখনোই একজন মিথ্যাভাষী মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবেই না । এখন অপনি বলতেই পারেন পৃথিবীতে মিথ্যা কথা বলে না এমন মানুষ পাওয়ায় দুষ্কর । হ্যাঁ, এটাও ঠিক সকলেই কম-বেশি মিথ্যা বলে ।
তবে কম আর প্রচুর বেশি মিথ্যা কথা বলা এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে । নিজেকে ক্ষতির হাত থেকে বাচাতে আমরা যদি মিথ্যা বলে থাকি তবে মনে রাখবেন এটা সত্যির চেয়েও মহান । কিন্তু কিছু প্রকৃতির মানুষ আছে যারা কারনে অকারনে মিথ্যা কথা বলে থাকে এদের থেকে দূরে থাকায় শ্রেয় । কারন এরা নিজে ভালো সেজে প্রতিনিয়ত অন্যের কাছে আপনাকে খারাপ করে তুলবে । এছারাও এ ধরনের মানুষের অন্য একটি বৈশিষ্ট্য আছে । এরা একজনের কথা অন্যজনের কাছে লাগিয়ে দেয় । তাই আপনার ব্যাক্তিগত কোনো কিছু এদের কাছে বললেই সব শেষ । পারলে এই ধরনের মানুষের থেকে দূরে থাকুন ।
৪.যারা নেশা করেঃ আপনি হয়তোবা নেশা করেন না তাই ভাবতেই পারেন আমার বন্ধু নেশা করে তাতে কি আমিতো করি না । এটা ভুল ! আজ না হয় কাল দু-দিন আগে পরে আপনিও ওটার স্বাদ নিতে শুরু করে দিবেন । আর মনে রাখবেন যারা নেশা করে তারাও অন্যকে সুন্দরভাবে নেশা করার জন্য মোটিভেট করতে জানে । এটাই হিউম্যান নেচার নিজে ধংশ হলে অন্যকেও ধংশ করে দেয় ।
আপনার যে বন্ধুটি নেশা করে সে আপনাকে বলবে আমরা তো শুধু স্মোক করি এটা কোনো বড় নেশা হলো । আর আপনিও মনে করবেন ঠিক কথাই তো আজ কাল স্মোক তো প্যাসান হয়ে গেছে অনেকেই করে । আর এটি ভেবে ওর কথায় স্মোক শুরু করলেই সব শেষ । প্রথমে তো আপনাকে স্মোক দিয়েই শুরু করাবে কিন্তু পরে কি কি দিয়ে শেষ হবে আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না ।
আমি এটা বলছি না স্মোক যারা করে তারাই খারাপ । চাইলে আপনিও স্মোক করবেন । তবে অন্যের মর্জিতে নয় আপনার যখন স্মোক করতে ইচ্ছে করে তখন করবেন । মনে রাখবেন কোনো কিছুই খুব বেশি ভালো নয় আপনি খাবার প্রয়োজনের অধিক খেয়ে ফেললে অসুস্থ হয়ে মারাও যেতে পারেন । তবে কিছু নেশা আছে যেগুলো আপনি ভুল করেও একবার করে ফেললে আর সেটা ছাড়তে পারবে না ।
মনে রাখবেন কোনো অকেশনে বেয়ার বা স্মোক করতে পারেন । তবে এ দুটি ছাড়া জিবনেও অন্যকিছু ট্রাই করার চেষ্টা করা যাবেই না । আর যদি কেও এগুলো বাদে অন্যকিছুতে জরিয়ে পরে তবে তার ক্যারিয়ার শেষ হবেই হবে ।
৫.যারা অন্যের দেখে হিংসা করেঃ অন্যের ভালো দেখে সহ্য করতে না পারা, অন্যের ভালো দেখে নিজের মধ্যে কষ্ট অনুভব করা, অন্যের ভালো বিষয়টি ধ্বংসের জন্য প্রচেষ্টা শুরু করে দেওয়াকে হিংসা বলে। ইবনে তাইমিয়া (রহ.) তাঁর ফতোয়ার মধ্যে উল্লেখ করেছেন : হিংসা হচ্ছে অন্তরের এমন এক কষ্ট বা ব্যথা যা বিত্তশালীদের স্বাচ্ছন্দ্য দেখার কারণে সৃষ্টি করে।
আপনার কিছু বন্ধু থাকতে পারে যারা আপনার সুখ দেখলে সহ্য করতে পারে না । এদের থেকে সর্বদা দূরে থাকতেই হবে । এরা মানুষের উন্নতি দেখলে ক্ষতি করার চেষ্টা করে । তাই সবসময় এদের থেকে দূরে থাকবেন । এরা নিজে ভালো থাকতে চাই , নিজে খবে, ব্যবহার করবে কিন্তু অন্যরা যখন ভালো থাকবে তখুন এই ধরনের মানুষের মাথাব্যাথা শুরু হয়ে যাবে ।
মনে রাখবে প্রয়োজনে এরা আপনার খারাপ হয় এমন সকল কাজ করতে পারে । তাই এদের সাথে কখনই বন্ধুত্ব করা যাবেই না ।
Post a Comment